Author Topic: গাউট বা গেঁটে বাত হওয়ার কারণ, ধরণ ও নিয়ন্ত্রণে কী খাবেন?  (Read 385 times)

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

LamiyaJannat

  • Guest
গাউট বা গেঁটে বাত এর ধরণ
গাউট বা গেঁটে বাত দুই ধরণের, Acute ও Chronic.

গাউট বা গেঁটে বাত কেন হয়?
স্বাধারণত আমরা যে প্রোটিন খাই তা থেকে রক্তে খুব বেশি ইউরিক এসিড জমে না। এক ধরণের এনজাইম এই এসিড-এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু বেশি পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করতে থাকলে একটি পর্যায়ে রক্তে ইউরিক এসিড জমতে শুরু করে এবং তা অস্থি-সন্ধিতে এক ধরণের কৃস্টাল আকারে থেকে যায়। ফলে সেই স্থানটি ফুলে ওঠে, গরম হয় ও ব্যথার উদ্রেক করে। একিউট গাউট যদিও ধরা পড়ে রাতারাতি, তবে এর প্রক্রিয়াটি শুরু হয় দীর্ঘ দিনের খাদ্যাভ্যাস অথবা জীনগত কারণে।

গাউট বা গেঁটে বাত থেকে বাঁচতে কি খাবেন?

• রুটি বা পরিমিত ভাত।
• দুধ (ননীমুক্ত)।
• ফল (বিশেষত: চেরি)।
• পেঁপে (কাঁচা পেঁপে অর্ধ – সেদ্ধকরে)।
• সবজি।
• মিঠা পানির মাছ।
• পুদিনা পাতার রস।
• তেঁতুলের শরবত এবং প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধপানি।

গাউট বা গেঁটে বাত থেকে বাঁচতে কি খাবেন না?


• মাংস, হৃৎপিন্ড, কলিজা।
• ব্রয়লার মুরগি ও হাঁসের মাংস।
• সামুদ্রিক মাছ (ইলিশসহ) ও চিংড়ি।
• মাশরুম।
• এলকোহল।
• ডুবো তেলে ভাজা খাবার।
• ডিমের কুসুম।
• ডাল (বিশেষত, মসুর)।
• ছোলা।
• মাখন।
• মিষ্টি জাতীয় খাবার ও চানাচুর।
• কোমল পানীয় ও আইসক্রিম।
• সবুজ শাক (বিশেষত: পালংশাক ও পুঁইশাক)।
• গাজর, মূলা, মটরশুটি, ফুলকপি ও পাতাকপি (ক্ষেত্রবিশেষে)।