সকালে নাশতার পর দাঁত ব্রাশ করুন!
দাঁত পরিষ্কার ও ভালো রাখতে সাধারণত দুবেলা ব্রাশ করা জরুরি। তবে ঠিক কোন সময়টিতে ব্রাশ করা হবে?
প্রশ্ন : ব্রাশ করার সময়টি কখন হওয়া উচিত এবং কতক্ষণ করবে?
উত্তর : ব্রাশ অবশ্যই রাতে করতে হবে, ঘুমানোর আগে। এবং সকাল বেলা নাশতা করার পর ব্রাশ করতে হবে।
এখানে একটি কথা বলি, আমি যখন রাতের বেলা দাঁত ব্রাশ করে পানি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম, এরপর সারা রাত ধরে আর কিছুই খাচ্ছি না। মুখের মধ্যে তখন লালা ছাড়া আর কিছু জমা হওয়ার সুযোগ নেই। তবে সকালবেলা যদি কুলি করে ফেলি, তাহলে হবে। নাশতা করার পর দাঁত ব্রাশ করি, তাহলে আবার যে খাদ্যকণা জমা হবে, সেটি থেকে রক্ষা পাব।
Source: Health Tips
আরো কারণ রয়েছে। অনেক সময় পানিতে আয়রন থাকে। পাশাপাশি আমরা যে খাবারগুলো খাই, আমাদের দেশি খাবারগুলো, মসলা বেশি থাকে। এসব কারণে ক্যালকুলাস জমা হয়। আপনি যেটি বললেন, জিনজিভাইটিস, শুধু এর মধ্যেই কিন্তু সীমাবদ্ধ থাকে না। একটি পর্যায় গিয়ে এ জিনজিভাইটিসটা পেরিওডনটাইটিসে রূপ নেয়। কারো দাঁত কিন্তু হাড়ের ভেতর আটকানো থাকে না। এখানে ক্ষুদ্র একটি ফাঁক থাকে। ওই ফাঁকের মধ্যে ছোট ছোট মেমব্রেন দিয়ে দাঁত ও হাড় লাগানো থাকে। যখন জিনজিভাইটিস থেকে পেরিওডনটাইটিস হয়, তখন দাঁত নড়ে যায়। এতে তখন দেখা যাবে সেই দাঁতও নড়ে গেছে। এতে সমস্যাটা আরো জটিল হবে।
আমি আরেকটি বিষয় জানিয়ে রাখছি, বয়স হলে এমনিতেই দাঁত নড়া শুরু করবে এবং পড়ে যাবে। তবে এটি কিন্তু সঠিক নয়। কারণ, দাঁত পড়ার কোনো বয়স নেই। যদি সঠিকভাবে যত্ন নেয়, যদি নিয়মিত স্কেলিং করে পরিষ্কার রাখে, পরিষ্কার যদি রাখতে পারে, তাহলে এই দাঁতের ফাঁকগুলোতে ক্যালকুলাস জমা হবে না, টারটার জমা হবে না, জিনজিভাইটিস হবে না, পেরিওডনটাইটিস হবে না। দাঁত একই রকম থাকবে।