Author Topic: ওভারিয়ান সিস্ট নাকি টিউমার | কখন কী করা উচিত?  (Read 283 times)

0 Members and 2 Guests are viewing this topic.

LamiyaJannat

  • Guest
ওভারিয়ান সিস্ট নাকি টিউমার কিভাবে বুঝবেন?
দুটি আলাদা  বিষয় হলেও অনেক সময় এদের পার্থক্য করা রোগীদের জন্য কঠিন হয়ে যায়, যার ফলে নরমাল সিস্ট হলেও তারা দুশ্চিন্তায়  ভোগেন। এখন দেখে নেয়া যাক দুটোর কিছু বৈশিষ্ট্য।
ওভারিয়ান সিস্ট নাকি টিউমার
১) ওভারিয়ান সিস্ট-এর লক্ষণ ও চিকিৎসা
১. সাধারণত আ্যসিম্পটোমেটিক, অর্থাৎ কোন লক্ষণ প্রকাশ করে না।
২. সাইজ ৫-৭ সে.মি. হয়ে থাকে, ভিতরে ক্লিয়ার ফ্লুয়িড/পানি থাকে- আল্ট্রাসাউন্ড-এর মাধ্যমে ডায়াগনোসিস হয়।
৩. বিভিন্ন রকম ওভারিয়ান সিস্ট-এর মধ্যে ফলিকুলার সিস্ট একটি, যা পলিসিস্টিক ওভারি-তে হয়ে থাকে,  যার কারণ নিয়মিত ডিম্বস্ফুটন না হওয়া, ফলে রোগী বন্ধ্যাত্বের মত সমস্যায় ভুগে থাকে।
৪. ওভারিয়ান টিউমারের চিকিৎসা অপারেশন হলেও সিস্ট-এর ক্ষেত্রে অপারেশন দরকার হয় না, ২-৩ মাসের মধ্যে এটি চলে যায়। তবে অবশ্যই একজন গাইনোকোলজিস্ট-এর তত্বাবধানে থাকতে হবে।
২) ওভারিয়ান টিউমার
ওভারিয়ান টিউমারের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক অবস্থায় কোন লক্ষণ থাকে না। তবে টিউমার বড় হতে থাকলে তলপেট ভারী হতে থাকে এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ-এর উপর প্রেশার দিতে থাকে। আল্ট্রাসাউন্ড করে যদি টিউমার মনে হয় তবে টিউমার মার্কারসহ অন্যান্য পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে এটা  ‘Benign’ নাকি ‘Malignant’ (ক্যান্সার) টিউমার। কারন দুটোর চিকিৎসা পদ্ধতি আলাদা।
তবে মনে রাখতে হবে বয়স ৪০ এর পর ওভারিয়ান যেকোন সিস্ট/টিউমার গুরুত্বের সাথে চিকিৎসা করাতে হবে,কারণ এক্ষেত্রে Malignant হবার চান্স বেশি থাকে।