Author Topic: যে ৫টি সাধারণ পানীয় আপনার ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী !  (Read 302 times)

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

LamiyaJannat

  • Guest
যে ৫টি সাধারণ পানীয় আপনার ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী !

আপনি কি জানেন দেহে ক্যালরির ৫৫ শতাংস আসে পানীয় জাতীয় খাবার থেকে? এক সমীক্ষা থেকে জানা যায় ২৫০০ ক্যালরি আসে শুধু মাত্র পানীয় জাতীয় খাবার থেকে। তা হতে পারে যেকোন ফলের রস বা সফট ড্রিংক। আমরা সবাই জানি ঠাণ্ডা পানীয় বা সফট ড্রিংক মোটা করে থাকে। কিন্তু কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় কিন্তু দায়ী আপনাকে মোটা করার জন্য।

১। কফি
প্রতিদিন সকালে যে পানীয়টি পান করছেন, সেটিও কিন্তু আপনাকে মোটা করার জন্য দায়ী! সাধারণ ফ্লেভারের কফি আপনাকে মোটা করে থাকে না। বরং এর ক্যাফেইন আপনার ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে থাকে। কিন্তু ঠাণ্ডা কফি বা যেকোন ফ্লেভারড কফি আপনার ওজন বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। ৯০০ পর্যন্ত ক্যালরি বাড়িয়ে দিতে পারে কোল্ড কফি। কারণ এই কফিতে প্রচুর চিনি, ক্রিম ব্যবহার করা হয়, যা আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।

২। চকলেট দুধ
লোভনীয় একটি পানীয় হল চকলেট দুধ। অনেকে ডায়েটের সময় এটি পান করে থাকেন। কিন্তু এক গ্লাস চকলেট দুধে ২০০ থেকে ২৫০ পর্যন্ত ক্যালরি থাকে, যা অর্ধেকটা বার্গার খাওয়ার সমান।

৩। প্রক্রিয়াজাত জুস
ব্যস্ততার কারণে আধুনিক জীবনে প্রায় সবাই বাজারের প্রক্রিয়াজাত জুস খেয়ে থাকেন। কিন্তু আপনি জানেন কি প্রক্রিয়াজাত জুসে মাত্র ৩% সত্যিকারে ফলের নির্যাস দেওয়া হয়! বাকি অংশটুকু সম্পূর্ণ চিনি, সুইটনার অথবা অন্য রাসায়নিক উপাদান। যার কারণে আপনার ওজন হ্রাসের পরিবর্তে বেড়ে যায়।

৪। এনার্জি ড্রিংক
এনার্জি ড্রিংক শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি আপনার ওজনও বৃদ্ধি করে থাকে। এই সকল ড্রিংকে প্রচুর পরিমাণে চিনি, ক্যাফেইন এবং অন্যান্য উপাদান থাকে, যা আপনার ওজন বৃদ্ধি করার সাথে সাথে ক্যান্সারের মত রোগ সৃষ্টি করে থাকে।

৫। সোডা
সোডা জাতীয় পানীয় যেমন কোক, পেপসি, ফান্টা, স্প্রাইট ইত্যাদি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম এবং কৃত্রিম সুইটনার ব্যবহার করা হয়। যা দ্রুত আপনার ওজন বৃদ্ধি করে থাকে। এমনকি ডায়েট ড্রিংকও ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী। ডায়েট ড্রিংকে চিনি না থাকলেও চিনির বিকল্প ব্যবহার করা হয়। “যখন আপনি ডায়েট ড্রিংক পান করেন, তখন তা শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন করে ওজন বৃদ্ধি করে দেয়”।

পানি কম পান করারও ওজন বৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ। প্রতিদিন ৬-৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
Source: স্বাস্থ্য পরামর্শ