Newtec Pharma & Research Center

Human Health Care => Clinical Nutrition & Dietetics => Topic started by: LamiyaJannat on March 07, 2020, 06:01:38 PM

Title: স্ট্রোক এর পর খাদ্যাভাস যেমন হওয়া দরকার
Post by: LamiyaJannat on March 07, 2020, 06:01:38 PM
আমাদের মস্তিষ্কে রক্ত সংবহনকারী নালিগুলোতে যখন কেনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় তখন মস্তিষ্কের কিছু কিছু কোষ পর্যাপ্ত অক্সিজ্ন ও পুষ্টি না পেয়ে নষ্ট হয়ে যায়। এই অবস্থাকেই আমরা বলে থাকি স্ট্রোক।
স্ট্রোকের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা সকলেই কম-বেশি অবগত আছি। World Health Organization (WHO) এর তথ্য অনুযায়ী,সারা বিশ্বে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে স্ট্রোকের অবস্থান দ্বিতীয়! আর প্যারালাইসিসের কারণ হিসেবে এটি আছে তৃতীয় অবস্থানে!

স্ট্রোক হতে পারে ২ ধরণের-
   ইস্কেমিক স্ট্রোক,যা মস্তিষ্কের অভ্যন্তরীণ রক্তনালিগুলোর মধ্যে চর্বি জমে গিয়ে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়ার কারণে হয়
   হেমোরেজিক স্ট্রোক,যা মস্তিষ্কের অভ্যন্তরীণ রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে হয়

স্ট্রোকের ধরণ যা-ই হোক না কেন,স্ট্রোক পরবর্তীকালে সচেতনতার মাধ্যমে মৃত্যু ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনা যায় এবং দ্রুত সুস্থতা অর্জন করা যায়।
চলুন তাহলে জেনে নিই স্ট্রোক পরবর্তী সময়ে আমাদের করণীয় কি —রোগীর মেন্যুতে নরম খাবার রাখুন।স্ট্রোকের পর কিছুদিন খাবার চিবুতে এবং গিলতে একটু সমস্যা হতে দেখা যায়। তাই স্ট্রোকের পর প্রথম কয়েকদিন খিচুড়ি,ডিমের সাদা অংশ,দই,গুড়ের পায়েশ ইত্যাদি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে

   সুষম এবং পুষ্টিসম্মৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে।তবে সবসময় একই ধরণের খাবার না খেয়ে খাবারে কিছুটা বৈচিত্র্য আনুন
   বেশি করে শাক-সবজি এবং ফলমূল গ্রহণ করতে হবে কারণ এগুলেতে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা পুনরায় স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে
   চর্বিযুক্ত খাবার,অতিরিক্ত চিনি এবং লবণ গ্রহণ পরিত্যাগ করতে হবে
   ধূমপান,মদ্যপান সম্পূর্নরূপে পরিহার করতে হবে
   অনেকের ক্ষেত্রে স্ট্রোকের পর হাটাচলা করতে এবং কথা বলতে সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে স্ট্রোকের পর দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি,স্পিচ থেরাপি ইত্যাদি গ্রহণ করতে হবে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ না করার কারণেই প্যারালাইসিস ঘটে থাকে
   ফিজিও থেরাপির পাশাপাশি বাড়িতেও নিয়মিত হালকা ধরণের ব্যায়াম করা যেতে পারে
   স্ট্রোক পরবর্তী সুস্থতা অর্জনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হলো রোগীর পরিবারের সদস্যদের। রোগীর সাথে বেশি বেশি সময় কাটাতে হবে যেন তিনি কোনোভাবেই দুশ্চিন্তায় না পড়েন,বিষন্নতায় না ভোগেন এবং সবসময় যেন প্রফুল্ল থাকেন।

সর্বোপরি,সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং লাইফস্টাইলের পাশাপাশি আপনার সচেতনতা বহুলাংশে কমিয়ে আনবে স্ট্রোক পরবর্তী ঝুঁকি।তাই সঠিক খাদ্যাভাস মেনে চলুন; সুস্থ থাকুন।



Source: pushtibarta