Newtec Pharma & Research Center
Human Health Care => Common Health Care => Topic started by: Rasel Ali on August 19, 2019, 09:27:31 PM
-
নারী-পুরুষ উভয়েরই চোখের নিচে কালো দাগ পড়তে পারে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, মানসিক চাপ, সূর্যের আলোর সংস্পর্শে বেশি আসা, পুষ্টির অভাব ইত্যাদি চোখের নিচে কালো দাগের কারণ।
চোখের নিচের কালো দাগের চিকিৎসা কী, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪৮৯তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. নাদিয়া রুম্মান। বর্তমানে তিনি ফারাবী জেনারেল হসপিটালে অবস্থিত ডার্মাটোলজি ক্লিনিক, ডা. এন এসথেটিকসের সিইও এবং পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : চোখের নিচে কালো দাগের চিকিৎসা কী?
উত্তর : কারণ অনুযায়ী আমরা এর চিকিৎসা করব। সবার ক্ষেত্রে একই রকম চিকিৎসা হবে না। যার যেই কারণ, সেই কারণকে আমাদের নির্দিষ্ট করতে হবে। যাদের ঘুমের অভাবের কারণে সমস্যা হয়, তাদের অবশ্যই আমরা বলব, জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তন করতে। যাঁরা অনেক্ষণ চোখের ওপর চাপ দেন, স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকেন, তাদের এসব বিষয় এড়িয়ে যেতে বলব। মানসিক চাপ যাদের বেশি, তাদের মানসিক চাপ কমাতে চিকিৎসা নিতে বলব। ঘুম যেন ঠিকমতো হয়, অন্তত ছয় থেকে আট ঘণ্টা যেন ঘুম হয়, সেটি বলব। এগুলো পালন করলে এসব সমস্যার কারণে যাদের চোখের নিচে কালো দাগ, তাদের সমস্যা সেরে যায়। কেউ নিয়ম মেনে না চললে দেখা যায় আবার এটি ফিরে আসতে পারে।
আরেকটি হলো, সূর্যের আলোর কারণেও অনেক সময় হয়। তাদের আমরা ডি পিগমেন্টিং এজেন্ট দিই। চামড়ায় লাগাবে। সাধারণত হাইড্রোকুইনন দুই পারসেন্ট হতে পারে অথবা কোজিক এসিড, ভিটামিন সি বা আরবুটেনিন বা ২০ ভাগ নাইসেলিক এসিড হতে পারে।
প্রশ্ন : সব বেলাতেই কি চিকিৎসা করেন?
উত্তর : রোগী নিজেই বলবে, আমার ডার্ক সার্কেল রয়েছে। কেস অনুযায়ী আমরা চিকিৎসা দিই। যেমন, যার ক্ষেত্রে হাইপার পিগমেন্টেশন রয়েছে, আমরা তাদের ওষুধ লাগাতে দিই। যেটি হয় যে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। সেটি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য আমরা কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি। এটি হচ্ছে মাইক্রোনিডলিং। নিজোথেরাপি বলি। সুঁই দিয়ে অনেকগুলো পাংচার করি। এ ওষুধটিই দিই। ব্যথামুক্তভাবেই করা হচ্ছে। এটি একটি করতে পারি। এ ছাড়া কেমিক্যাল পিলিং করতে পারি। এ ক্ষেত্রে আমরা গ্লাইকোলিক এসিড বা ল্যাকটিক এসিড ব্যবহার করি। এরপর রয়েছে লেজার। আর রয়েছে পিআরপি। প্লাটিলেট রিচ প্লাজমাথেরাপি। এটা হচ্ছে শরীর থেকে রক্ত টানে। রক্ত থেকে প্লাটিলেট ও গ্রোথ ফেক্টর আলাদা করে নিচ্ছি। এটা কোলাজেন সিনথেসিস। বয়সের সঙ্গে কিন্তু আমাদের কোলাজেন কমে যায়। এটি কোলাজেন সিনথেসিসকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।